Home বি সি এস চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপস

চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপস

চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপস

চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপসঃ চাকরি বা বিসিএস কাদের হয়? এই প্রশ্ন সবার মনেই উদয় হয়, সহজ কথায় বলতে গেলে প্রথমত,যাদের বেসিক ক্লিয়ার। 

দ্বিতীয়ত,যারা প্রচুর পড়তে পারে। তৃতীয়ত, যারা ধৈর্য্যশীল। চতুর্থত,যারা আত্মবিশ্বাসী। পঞ্চমত, যারা টেকনিক অবলম্বন করতে পারে।

এই পোস্টে আপনার জন্য যা যা থাকছেঃ

চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপস-২০২৩

চাকরি বা বিসিএস টিকতে সাধারন কিছু টিপস
অনার্স-মাস্টার্স পাসের সঙ্গে চাকরি হওয়ার সম্পর্ক কী?

সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। অনার্স-মাস্টার্স সার্টিফিকেট হলো চাকরির প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতিপত্র। মনে রাখতে হবে এ সার্টিফিকেট দিয়ে কেউ চাকরি দিবে না।

চাকরির সিলেবাস,পড়ালেখা আলাদা। বলা যায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য বিষয়গুলোই চাকরির সিলেবাস। অনার্স মাস্টার্সের কিছু চাকরির পরীক্ষায় আসে না।

চাকরি পেতে হলে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান সব বিষয়ে সমান দক্ষতা অর্জন করতে হবে?

সবাই সব বিষয়ে সমান দক্ষ হয় না। তুমি কোনো বিষয়ে দুর্বল-এ কথার মানে হচ্ছে তুমি ঐ বিষয় সবচেয়ে কম পড়েছো অথবা ঐ বিষয়কে জটিল বা কঠিন মনে করে এড়িয়ে গেছো।

বিসিএসে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই দুর্বল বিষয়কে দ্বিগুণ সময় দিতে হবে। সব বিষয়ে সমান দক্ষতা অর্জন সম্ভব না হলেও মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে।

কোনো বিষয়ে একদম অন্ধকারে থাকলে জব হবে না। তিন বিষয়ে খুব ভালো দখল থাকলে বাকি তিন বিষয়ে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে।

বিসিএস প্রিলি পাস করার একদম সহজ পদ্ধতি

যারা চাকরি পায় কিংবা যাদের বিসিএস হয় তারা কী সকল বিষয়ে সমান দক্ষ?

না। কেউ সকল বিষয়ে সমান দক্ষ হয় না। যে বিজ্ঞানে পড়েছে সে সাধারণ জ্ঞান , বাংলা কিংবা ইংরেজি বিষয়ে দুর্বল থাকে;বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ থাকে।
আবার যে ব্যবসায় শিক্ষা বা মানবিকে পড়েছে সে বিজ্ঞান ও গণিতে দুর্বল থাকে। ভালো প্রস্তুতির মাধ্যমে নিজস্ব বলয়ের বাহিরে মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সফলতা আসবে।

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

অনার্স তৃতীয় বর্ষ থেকে একটু একটু পড়া উচিত। পত্রিকার কলাম,সম্পাদকীয় ,পারলে ইংরেজি পত্রিকা পড়া(এতে ইংরেজি দুর্বলতা কেটে যাবে)এবং খবর শোনা।

কতক্ষণ পড়ালেখা করতে হবে?

সময় বা ঘন্টা হিসাব করে পড়া হয় না। ধীরে ধীরে টেবিলে বসার অভ্যাস করতে হবে। টেবিলে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পড়ায় মনোযোগ আসবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকলে এবং আড্ডা /বন্ধু/জন্মদিন /পার্টি /ট্যুর/অনুষ্ঠান এড়িয়ে অসামাজিক হতে পারলে সাফল্য আসবে।

পরীক্ষার আগের ছয় মাস ঘুম, নামাজ ও খাওয়া ছাড়া বাকি সময় পড়তে হবে। পড়া মনে থাকছে কি না সে হিসেব করা যাবে না। শুধু পড়ে যেতে হবে। সামাজিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। নিজের মধ্যে ডুবে থাকতে হবে।

কোচিং বা কোনো শিক্ষকের কাছে পড়া কি জরুরি?

বর্তমান প্রতিযোগিতার কালে এটা জরুরি। বুয়েট, মেডিকেলে পড়ে কোচিং করলে তুমি কেনো নয়?কোচিং বা কোনো শিক্ষকের গাইডলাইনে থাকলে রেসে এগিয়ে থাকা যায়।

কোচিং ছাড়াও হবে, তবে কোচিং করলে হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ১০ কিমি পথ হেঁটেও যাওয়া যায়, আবার গাড়িতেও যাওয়া যায়। তুমি নিশ্চয় হেঁটে যেতে চাইবে না?

কোচিং করতে হবে কিন্তু কোচিং নির্ভর হওয়া যাবে না। কোচিং বা শিক্ষক পথ দেখাবে সে পথে তোমাকেই হাঁটতে হবে।

টাকা বা মামা /খালু ছাড়া চাকরি হয়?

এক সময় টাকা বা মামা খালুর কথা শোনা যেত। এখন সেসব জাদুঘরে। এখন এসবের কোনো সুযোগ নেই। যারা ব্যর্থ হয় তারাই এসব কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভ করে কিংবা সমাজ থেকে আত্মরক্ষা করে। সরকারি নিয়োগ এখন শতভাগ স্বচ্ছ।

চাকরির প্রশ্ন কারা করে?কোন লেভেলের বই থেকে করে?

প্রশ্ন সাধারণত পিএসসির সদস্য, সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করে থাকেন। নবম-দশম শ্রেণি ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বই বা সমমান থেকে প্রশ্ন করা হয়। তবে গাইড বইও দেখতে পারেন।

পড়ার কৌশল কী হতে পারে?

বিসিএস শুধু পড়লে হবে না। কৌশল করে পড়তে হবে। যে যত টেকনিক অবলম্বন করে পড়বে সে তত এগিয়ে যাবে। গৎবাঁধা পড়া তেমন কাজে আসে না। ধরো, তুমি বঙ্কিমচন্দ্র কী কী উপন্যাস লিখেছেন তা মুখস্থ করলে, অপরদিকে তোমার বন্ধু সেগুলো দিয়ে নিজের মতো ছন্দ তৈরি করে খাতায় শুধু লিখে রাখলো।

দেখা যাবে এক মাস পর তুমি সবই ভুলে গেছো কিন্তু ছন্দ তৈরি করে লেখার কারণে তোমার বন্ধুর ঠিকই মনে আছে। তোমার বন্ধুর মনে থাকার কারণ দুটি। এক) সে ছন্দ তৈরি করেছে এবং ছন্দ তৈরির সময় তার ব্রেণ প্রোএ্যাকটিভ ছিল। দ্বিতীয়ত, সে তা খাতায় লিখেছে।

চাকরির প্রস্তুতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য-২০২৩

একটা প্রবাদ আছে, যদি থাকে খাতায় তাহলে থাকবে মাথায়। বইয়ে যে বিদ্যা রয়েছে তা প্রয়োজনের সময় মনে আসবে না। এ জন্য বলে গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন,নহে বি দ্যা- নহে ধন, হলে প্রয়োজন।

সবশেষ কথা হচ্ছে, ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমাদের ধৈর্য্য খুব কম। ধৈর্য্য কমের কারণে আমাদের মনোযোগও কম। অনেকে এ লেখাটি ধৈর্য্য ধরে পড়তে পারবে না। মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে না।

পড়াতে বুঁদ না হলে সফলতা আসবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে আমাদের ধৈর্য্যে সীমা এখন এক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। ধৈর্যের স্থায়ীত্ব বাড়াতে হবে। ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হবে।

নুর মোহাম্মদ
৩৩তম বিসিএস(সাধারণ শিক্ষা)

পোষ্টটি লিখেছেন

এডু হেল্পস বিডি
এডু হেল্পস বিডিশিক্ষা বিষয়ক খবর সবার আগে
এডু হেল্পস বিডি শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমউনিটি ওয়েবসাইট। এডু হেল্পস বিডি এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সুন্দর কমিউনিটি তৈরি করা। পাশাপাশি পড়াশোনার প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা ও সঠিক দিকনির্দেশনা নিশ্চিত করা ও লেখাপড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

error: Content is protected !!