৪৩ তম বিসিএস এর অনলাইন আবেদনের সময়সীমা আবারও বাড়ছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ২৪ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ায় আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। খুব তারাতারি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পূর্ণ কমিশনের সভা বসবে। (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, ৪৩ তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা আবারও বাড়ছে, এটা নিশ্চিত।
আগামী ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে ৪৩ তম বিসিএস এর আবেদনের দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো সময়সীমা। শিক্ষার্থীদের দাবি ও সংগত কারণে ৪৩ বিসিএসের আবেদনের সময় ২-৩ মাস বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে কতদিন বাড়নো হতে পারে তা পূর্ণ কমিশনের বৈঠকে নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনার মাধ্যমে সময় বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ আজকে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার সকল অংশের সমাধান
কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার পরিস্থিতি যদি ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে তাহলে ২৪ মে সরাসরি হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে না। তাহলে অনলাইন ক্লাস ও শুধু মাত্র পরীক্ষা আগের মতো চালু রাখতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৩ তম বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১,৮১৪ জনকে নিয়োগ করানো হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ৩০০ জন, পুলিশ ১০০ জন, পররাষ্ট্র ২৫ জন, শিক্ষা ৮৪৩ জন, অডিট ৩৫ জন, তথ্য ২২ জন, ট্যাক্স ১৯ জন, কাস্টমস ১৪ জন ও সমবায় ১৯ জনকে নেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ-মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
পরীক্ষার নম্বর বণ্টন, প্রতিটা প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে মোট ২ ঘণ্টা। বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নম্বর পাবে। তবে প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২৪ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা ইতোপূর্বে বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। যারা স্নাতক শেষবর্ষ বা শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী তাদের পরীক্ষার কথা চিন্তা করে আবেদনের সময়সীমা ঠিক করতে পারে সরকারি কর্ম কমিশন।
আরও পড়ুনঃ ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি