হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিসিএস পরীক্ষা মূলত তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা হয় সেটা হচ্ছে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা। যারা বিসিএস এ অংশগ্রহণ করবে তাদের অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। তেমনি বিসিএস সিলেবাস মানবন্টন নিয়ে অনেকেই জানতে চাই। এডু হেল্পস বিডির আজকের আলোচনায় এই বিষয়টা নিয়েই থাকছে বিশেষ আয়োজন।
যেকোনো পরীক্ষারই একটা নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস থাকে। সিলেবাস ছাড়া পরীক্ষা খুবই কমই আছে এই দুনিয়ায়। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষারও একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে। সাধারণত সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম এর বাইরে প্রশ্ন করা হয় না। তাই বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা করে রাখা সবার জন্য জরুরী। এছারাও বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন থাকে। সব কিছু জেনে শুনে তবেই বিসিএস দেয়ার জন্য তৈরি হওয়া ভালো।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ পেতে হলে অবশ্যই সেটা বিসিএস এর মাধ্যমে পেতে হয়। এছাড়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদ থাকে, আর এই শূন্যপদগুলো পূরণ করা হয় এই বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিসিএস ক্যাডার নিয়োগ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আসুন বিসিএস এর প্রতিটি ধাপ, বিসিএস সিলেবাস এবং বিসিএস এর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস ও মানবন্টন কি কি আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আসিঃ
আরও পড়ুনঃ বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা (শিক্ষা, বয়স ও স্বাস্থ্য)- পিএসসি
বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টন (প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা) পরীক্ষার বিস্তারিত
সুচিপত্র
বিসিএস পরীক্ষা সাধারণত তিনটি ধাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। তার প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা এবং তৃতীয় ধাপে ভাই পরীক্ষা।
বিসিএসের প্রথম ধাপঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হওয়ার পর সবাইকে প্রথমে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। আর এই ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারিতে ২০০ টি এমসিকিউ কোশ্চেন দেওয়া হয়। যার জন্য নম্বর বরাদ্দ থাকে ২০০ এবং সময় থাকেন দুই ঘণ্টা। তার মানে আপনাকে ১২০ মিনিটে ২০০ টি কোশ্চেনের অ্যানসার করতে হবে। এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ৫০ পার্সেন্ট নেগেটিভ মার্ক থাকবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরে ০.০৫ নাম্বার কাটা যাবে।
বিসিএসের দ্বিতীয় ধাপঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে যে দ্বিতীয় ধাপটি অনুষ্ঠিত হয় সেটা হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা হয় মোট ৯০০ নাম্বারের। এতে গড় পাস নাম্বার থাকে ৪৫০।
বিসিএসের তৃতীয় ধাপঃ তৃতীয় ধাপ বা শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত হয় ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষা। ২০০ নাম্বার থাকে মৌখিক পরীক্ষায়।
বিসিএস এর সফলতার জন্য পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস দেখে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। আর এই পরীক্ষায় নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে অবশ্যই প্রিলিমিনারি দরজা পার করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বিসিএস পরীক্ষায় কোন প্রভাব না ফেললেও বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অবশ্যই প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। প্রিলিমিনারি বিসিএসের মূল পরীক্ষায় কোন প্রভাব ফেলে না। প্রিলিমিনারিতে কোন মতে টিকলেই হয়। কারণ প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর লিখিত বা ভাইভাতে কোন কাজেই আসে না। প্রিলিমিনারির মাধ্যমে পরীক্ষার্থী সংখ্যা শুধু একটু কমানো হয়।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য শুধু লিখিত ও ভাইবায় যে নাম্বারটা পাবে সেটাই গণনা করা হয়। তবে প্রিলিমিনারি পার না করতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া যায় না।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন দেখুন
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট বিষয় থাকে দশটি। আর এই দশ বিষয়ের উপর ২০০ নাম্বার থাকে।

আরও পড়ুনঃ বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম ও সঠিক আবেদন পদ্ধতি
ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যঃ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মোট নাম্বার থাকে ৩৫। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আবার দুইটা অংশ থাকে একটা হচ্ছে বাংলা ভাষা আরেকটা হচ্ছে বাংলা সাহিত্য।
- এখানে বাংলা ভাষা (বিপরীত শব্দ, সমাস, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, পরিভাষা, সন্ধি, শব্দ, ধ্বনি ও বর্ণ, বানান ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ, বিপরীত শব্দ সমার্থক শব্দ) এগুলা থেকে থাকে ১৫ নাম্বার।
- এবং বাংলা সাহিত্যে (আধুনিকযুগ, প্রাচীনযুগ ও মধ্যযুগ) এগুলো থেকে থাকে ২০ নম্বর।
খ. English Language and Literature
English Language and Literature এ সর্বমোট ৩৫ মার্ক থাকে। এই অংশটি দুই ভাবে বিভক্ত, যার একটি হচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ এবং অপরটি হচ্ছে লেকচার।
- ল্যাঙ্গুয়েজ অংশ (Clauses, Corrections, Words, Parts of Speech, Idioms & Phrases, Sentences & Transformations, Composition) থেকে মোট ২০ নাম্বার থাকে।
- English Literature অংশ (♦ Quotations from drama/poetry of different ages ♦ Names of writers of literary pieces from the Elizabethan period to the 21st Century) এগুলো থেকে মোট ১৫ নাম্বার থাকে।
বিসিএস সিলেবাস, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন
গ. সাধারণ বিজ্ঞানঃ
এই অংশের সর্বমোট নাম্বার ১৫। যার মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান (৫নম্বর), জীববিজ্ঞান (৫নম্বর), আধুনিক বিজ্ঞান (৫ নম্বর) অন্যতম।
ঘ. বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা, বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাংলাদেশের কৃষি সম্পদ, বাংলাদেশের শিল্প সম্পদ, বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পদ, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ নদী নিয়েই বাংলাদেশ বিষয়াবলী অংশ থাকে। আর এই অংশের মোট নাম্বার ৩০।
ঙ. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ
বৈশ্বিক ইতিহাস, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি, বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু ও কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন দিক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা এসকল বিষয় নিয়েই আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী অংশ। আর এর সর্বমোট ১৫ নম্বর থাকে।
চ. গাণিতিকযুক্তিঃ
- পাটিগণিতে (বাস্তবসংখ্যা, শতকরা, সরল, লাভক্ষতি, লসাগু, গসাগু, অনুপত, সমানুপাত) থাকে ৩ নম্বর।
- বীজগণিতে (বীজগণিতের বিভিন্ন সূত্রাবলী, বহুপদী উৎপাদক, সরল, দ্বিপদী সমীকরণ, দ্বিপদী অসমতা, সহসমীকরণ, লগারিদম, সূচক, সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা) থাকে ৬ নম্বর।
- বিচ্ছিন্নগণিতে (পরিসংখ্যান, সম্ভাব্যতা, সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ) থাকে ৩ নম্বর।
- জ্যামিতি থেকে (রেখা, কোন, চতুর্ভুজ, ত্রিভুজ, উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত, পরিমিতি, সরলক্ষেত্র ও ঘনবস্তু) থাকে ৩ নম্বর।
ছ. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ
- কম্পিউটার অংশ থেকে থাকে ১০ নম্বর। কীবোর্ড, মাউস, ও সিআর, সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, এএলইউ, পারফরমেন্স, দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার যেমন কৃষি, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা। অপারেটিং সিস্টেম, এমবেডেড, কম্পিউটারের যাবতীয় ইতিহাস, প্রকারভেদ, প্রোগ্রাম- ভাইরাস, ফায়ারওয়াল, ডেটাবেস সিস্টেম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
- তথ্যপ্রযুক্তি অংশ থেকে থাকে ৫ নম্বর। ই-কমার্স, ইন্টারনেট, টুজি, থ্রিজি, ফোরজি, ওয়াইম্যাক্স, ল্যান, ম্যান, ওয়াইফাই, দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি, স্মার্টফোন, ওয়েব (www), ইমেইল, ফ্যাক্স, ক্লাইন্ট সার্ভার, মোবাইল প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য, গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, ক্লাউড কম্পিউটিং, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, সাইবার অপরাধ ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
জ. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ
এই অংশে মোট নম্বর ১০। মূল্যবোধ এবং সুশাসনের সংজ্ঞা, মূল্যবোধ এবং সুশাসনের মধ্যে সম্পর্ক, মূল্যবোধ এবং সুশাসন সম্পর্কে সাধারণ উপলব্ধি, একজন নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির জীবনে মূল্যবোধ ও সুশাসনের গুরুত্ব এবং সেই সাথে সমাজ ও জাতীয় আদর্শ গঠন, জাতীয় উন্নয়নে মূল্যবোধ ও সুশাসনের প্রভাব, একটি প্রদত্ত সামাজিক প্রেক্ষাপটে সমাজে সুশাসন এবং মূল্যবোধের উপাদান কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, মূল্যবোধ এবং সুশাসনের সুবিধা এবং মূল্য সমাজ তাদের অনুপস্থিতিতে প্রতিকূলভাবে প্রদান করে ইত্যাদি বিষয়ের উপরে সাধারনত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
ঝ. মানসিক দক্ষতাঃ
এই অংশে মোট নম্বর ১৫। বানান ও ভাষা, সমস্যা সমাধান, ভাষাগত যৌক্তিক বিচার, স্থানাংক সম্পর্ক, সংখ্যাগত ক্ষমতা, যান্ত্রিক দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ের উপরে সাধারনত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
ঞ. ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাঃ
এই অংশ থেকে মোট নম্বর ১০ রাখা হয়। বাংলাদেশ ও অঞ্চল, ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক, ভূ-রাজনীতি, ভূ-প্রাকৃতিক, সম্পদের বণ্টন, বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জ, আবহাওয়া ও জলবায়ু, স্থানীয় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব, অভিবাসন, কৃষি, শিল্প, মৎস্য ইত্যাদি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্যোগের ধরন, প্রকৃতি ইত্যাদির উপরে সাধারনত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
উপরে উল্লেখিত সিলেবাস ও মানবন্টন অনুসারেই প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ৪৪ তম বিসিএস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ; মোট পদ ১ হাজার ৭১০
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন দেখুন
বিসিএস সিলেবাস অনুসারে লিখিত তে সাধারণ ও প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের পরীক্ষা হয়ে থাকে। আর তাদের সিলেবাস ও ভিন্ন হয়। লিখিত পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকে ৯০০। তবে প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডার যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। মানে কেউ ডাক্তার হতে চাইলে ডাক্তারি অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
ক. সাধারণ ক্যাডারঃ
- বাংলা প্রথম পত্র ১০০ নম্বর, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বর। সুতরাং (১০০+১০০)= সর্বমোট ২০০ নম্বর।
- ইংরেজি প্রথম পত্র ১০০ নম্বর, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বর। সুতরাং (১০০+১০০)= সর্বমোট ২০০ নম্বর।
- বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
- গাণিতিক যুক্তিতে ৫০ নম্বর, মানসিক দক্ষতায় ৫০ নম্বর। অর্থাৎ (৫০+৫০)= সর্বমোট ১০০ নম্বর।
- সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
সাধারণ ক্যাডারে উপরিউক্ত বিষয়ের উপর ৯০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
খ. প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারঃ
- বাংলা প্রথম পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
- ইংরেজি প্রথম পত্র ১০০ নম্বর, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বর। সুতরাং (১০০+১০০)= সর্বমোট ২০০ নম্বর।
- বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
- গাণিতিক যুক্তিতে ৫০ নম্বর, মানসিক দক্ষতায় ৫০ নম্বর। অর্থাৎ (৫০+৫০)= সর্বমোট ১০০ নম্বর।
- স্নাতকে পঠিত বিষয়ের উপর ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারে উপরিউক্ত বিষয়ের উপর ৯০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।

বিসিএসে লিখিততে প্রতিটি ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় দেয়া হয়ে থাকে ৪ ঘণ্টা। প্রতিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় দেয়া হয় ৩ ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস মার্ক ধরা হয় ৫০%। অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলে তবেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন। অন্যথায় নির্বাচিত হবেন না।

তবে কোন প্রার্থী যদি চাই একই সাথে সাধারণ ক্যাডার এবং প্রফেশনাল ক্যাডার দুটোতেই আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ঐ প্রার্থীকে পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাডারের বিসিএস সিলেবাস অনুযায়ী ৯০০ নম্বরের সাথে প্রফেশনাল ক্যাডারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের অতিরিক্ত পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ তখন প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। উভয় ক্যাডারে পাশ করতে হলে ১১০০ নম্বরের ৫০% মানে ৫৫০ নম্বর থাকতে হবে। অন্যথায় নির্বাচিত হবেন না।
বিসিএস ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষার মানবন্টন
বিসিএস ভাইভাতে নির্দিষ্ট কোন বিসিএস সিলেবাস নাই। ভাইভা বোর্ডে সাধারণত নিজের সম্পর্কে, নিজের জেলা সম্পর্কে, অনার্সে পঠিত বিষয় ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
তাছাড়া সমসাময়িক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও প্রশ্ন হয়। প্রার্থীর প্রদত্ত ক্যাডার পছন্দক্রম থেকে বিভিন্ন ক্যাডার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরেও প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। ভাইভাতে সর্বমোট ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। এখানে পাশ মার্ক ৫০%, অর্থাৎ ১০০ নম্বর পেলে আপনি ভাইভাতে পাশ করবেন।
আর এই লিখিত ও ভাইভায় প্রাপ্ত মোট নম্বর অনুযায়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করে থাকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টন পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখান থেকে
নোটঃ বিসিএস সিলেবাস এবং মানবন্টন এই লেখার সকল তথ্যাদি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ওয়েবসাইট, বিগত সকল বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা, ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ক্যাডারদের আলোচনা থেকে সংগ্রহ করে সুন্দর ভাবে লিখে আমাদের এডু হেল্পস বিডিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
পোষ্টটি লিখেছেন

- নাঈমুর রহমান দুর্জয়, শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ওয়েবসাইট "এডু হেল্পস বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ এর সরকারি বাঙলা কলেজে এমবিএ করতেছেন।
সর্বশেষ খবর
অনলাইনে আবেদন২০২২.০৬.০১জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়২০২২.০৫.২৫জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়২০২২.০৫.২৩জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি শেষ পর্ব পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি
শিক্ষা সংবাদ২০২২.০৩.১৬বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি